ডলার সংকটের কারণে গত মাসে আমদানীকৃত কয়লার মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে জটিলতায় পড়ে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)। সর্বশেষ ডলার সংকটে জাহাজ ভাড়া পরিশোধ করতে না পেরে আমদানীকৃত কয়লা খালাস নিয়ে জটিলতায় পড়ে বিসিপিসিএল।
শুধু পায়রায় চালু বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য কয়লা আমদানি করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি)। এর মধ্যে আবার নির্মাণাধীন ও উৎপাদনের অপেক্ষায় থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়াবে সাত হাজার মেগাওয়াটে। সংশ্লিষ্টদের তথ্যানুযায়ী, সারা বছর এ সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখতে কয়লা প্রয়োজন সাড়ে ২৫ মিলিয়ন টন। গড় মূল্য টনপ্রতি ২০০ ডলার হিসাব করলেও আগামী দুই বছরে চালু হতে যাওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য শুধু কয়লা আমদানি করতেই প্রয়োজন পড়বে ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারের বেশি।