রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ শুক্রবার মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। তিনি ইউক্রেনকেও এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তাঁর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এটি একটি কৌশলী চক্রান্ত।’ কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি হল পূর্ব দনবাস অঞ্চলে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর অগ্রগতি রোধ করার এবং মস্কোকে আরও সৈন্য আনার অনুমতি দেওয়ার একটি কৌশল।’
গতকাল বৃহস্পতিবার পুতিন বলেছিলেন, ‘যুদ্ধবিরতি শুরু হবে মস্কোর স্থানীয় সময় ১২টা বা গ্রিনিচ মান সময় ৯ টা।’ রাশিয়ার অর্থোডক্স ক্রিসমাস বা বড়দিনের সঙ্গে এ সময় মিলে যায়। রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চের প্রধান প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলের অনুরোধের পর পুতিন যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। কিরিল সংঘাতের সঙ্গে জড়িত ‘সব পক্ষকে’ অস্ত্র সংবরণ এবং বড়দিনে যুদ্ধবিরতি দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
মস্কো এক বিবৃতিতে বলেছে, জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চ ৭ জানুয়ারি বড়দিন উদ্যাপন করে। চার্চ প্রধানের অনুরোধেই সাড়া দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুতিন।
যুদ্ধবিরতি রাশিয়ার আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক অপারেশন—উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে কিনা তা উল্লেখ করা হয়নি বিবৃতিতে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে গেলে রাশিয়া পাল্টা আঘাত করবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
এ বিবৃতির পর বৃহস্পতিবার রাতে রুশ ভাষায় সুস্পষ্টভাবে রাশানদের সম্বোধন করে জেলেনস্কি তাঁর ভিডিও বক্তৃতায় বলেছেন, ‘মস্কো বারবার কিয়েভের শান্তি পরিকল্পনাকে উপেক্ষা করেছে। তারা এখন ক্রিসমাসকে একটি আবরণ হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। দনবাসে আমাদের সেনাদের অগ্রগতি রুখে দিতে মস্কো তাদের সেনা ও গোলাবারুদ আনার পাঁয়তারা করছে।’