মানুষ আর যানবাহনের চলাচল কমে এলে গভীর রাতে সড়কে ঝাড়ু হাতে কাজে নেমে পড়েন জাকির, ভোরের আলো ফোটার আগেই প্রতিদিনের এ রুটিনে কাজ সারলেও কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাকে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই পরিচ্ছন্নতাকর্মী জানান, হিম বাতাসের সঙ্গে নগরীতে শীত জেঁকে বসলেও রাত ৩টার দিকে কাঁপতে কাঁপতেই তাকে সড়কে ছুটতে হয়। শীত যতই হোক, কাজের সঙ্গে তার আপসের সুযোগ নেই।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রাত ৩টা বাজে বাইর হই, নাইলে পুরা রাস্তা ঝাড়ু দিয়া শেষ করন যায় না। রাত্রে ভীষণ ঠাণ্ডা বাতাস থাকে। দুই দিন যাবত অনেক বেশি বাতাস।”
টানা কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কমার প্রবণতার মধ্যে পৌষের মাঝামাঝি দেশের সর্বত্র শীত ও কুয়াশার দাপট বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও উত্তরের হিম হাওয়ার বেগ টের পাচ্ছেন ঢাকাবাসী।
সকাল সকাল কাঁপতে কাঁপতে স্কুলমুখী হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। নগরীর শ্রমজীবী আর পেশাজীবীরাও গায়ে মোটা কাপড় জড়িয়ে ছুটছেন গন্তব্যে।
ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার বিকাল পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের অনেক এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় মাঝারি থেকে তীব্র শীত অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারা দেশে সর্বত্র সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের কামাল সরণী (৬০ ফুট সড়ক) এলাকায় টং দোকানের নিচে বুধবার ভোরে শীতে জড়োসড়ো হয়ে বসেছিলেন বৃদ্ধ সফর আলী। কাছে গিয়ে শীতের প্রসঙ্গ তুলতেই বললেন, “শীতের কথা কইয়া আর লাভ নাই। মোটা কোনো কাপড় নাই। এই বয়সে ভিক্ষা কইরা খাওয়া লাগে।