মার্কিন লেখিকা কেট শপ্যাঁ তাঁর ‘দ্য অ্যাওয়েকেনিং’ বইয়ে বলেছিলেন, সমুদ্র আমাদের আত্মার সঙ্গে সরাসরি কথা বলে। আশপাশে ভ্রমণপিপাসু যাঁকেই প্রিয় জায়গার কথা জিজ্ঞাসা করুন না কেন, দেখবেন বেশির ভাগেরই তালিকায় ওপরে থাকে সমুদ্র। কিন্তু কখনো খেয়াল করেছেন কি, শহুরে কোলাহল থেকে স্বস্তি পেতে বারবার আমরা কেন ছুটে যাই সমুদ্রের কাছে? সমুদ্রের লোনাপানির ছোঁয়া মানেই যেন প্রশান্তি।
ঢেউয়ের শব্দ, কুড়িয়ে পাওয়া শামুক-ঝিনুক, সাগরপাড়ের হিম বাতাস—মুহূর্তেই এগুলো আমাদের মনকে করে হালকা। তবে এটি কি কেবল সমুদ্রে গেলেই হয়? মনে করুন ছোটবেলায় পুকুরে দাপাদাপি বা সুইমিংপুলে সাঁতার কাটার মুহূর্তগুলোর কথা। সবই আমাদের মনে আনন্দের অনুভূতি জাগায়। বিজ্ঞানও বলে, যেকোনো জলাশয় বা পানির কাছাকাছি থাকা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরে বড় ভূমিকা রাখে। আমাদের মনে ইতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি করে। আর এটিই হলো ব্লু মাইন্ড থিওরি। বিখ্যাত বই ‘ব্লু মাইন্ড’-এ এ ধারণাই ব্যাখ্যা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জীববিজ্ঞানী ড. ওয়ালেস নিকোলস।