স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও দেশের মানুষের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার নেই। সরকার সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করে জনগণের অধিকার হরণ করছে। ব্যাংক লুটেরা, অর্থ পাচারকারীরা নির্বিঘ্নে অর্থপাচার, ব্যাংক লুট করছে। এমন অবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।
আজ রোববার বিকেলে ‘অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, রেশন চালু, অর্থপাচার ও ব্যাংক লুটের হোতাদের গ্রেপ্তারের’ দাবিতে পদযাত্রা করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন নেতারা। শান্তিনগর মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
পদযাত্রা শেষে পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাপনী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাসদ ঢাকা মহানগরের সদস্যসচিব জুলফিকার আলী বলেন, ‘এই সরকারকে দেশের জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন করে নাই। তাই এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। এই আওয়ামী লীগ তিয়াত্তর (১৯৭৩) সাল থেকে ভোট ডাকাতি শুরু করেছে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ নির্বাচিত হতে পারেনি। আমরা ভাত, ভোট, কাজ, মর্যাদার অধিকারের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। পাকিস্তানিরা গণতন্ত্র দেয়নি, স্বাধীন দেশেও মানুষের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার নেই।’
শান্তিনগর মোড়ে পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে সিপিবি নেতা হযরত আলী বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। গত ৫১ বছরে বড় দলগুলো বারবার ব্যর্থ হয়েছে। দেশকে বাঁচাতে হলে এই মুহূর্তে বামপন্থীদের সরকার প্রয়োজন।’