আগাম বয়ঃসন্ধি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:০০

একটি শিশু মাতৃগর্ভে স্ফুরণের পর থেকেই তার বৃদ্ধি শুরু হয়। যা চলতে থাকে পূর্ণাঙ্গ বয়স প্রাপ্তি পর্যন্ত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর শরীরে নির্দিষ্ট কিছু পরিবর্তন হতে থাকে।


এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বয়ঃসন্ধির আগমন; যা শিশুকে পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত করতে সহায়তা করে। সাধারণত মেয়েশিশুদের ৮ থেকে ১৩ বছর ও ছেলেশিশুদের ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সে এই পরিবর্তন হয়।


যদি কোনো মেয়ের ৮ বছর ও ছেলের ৯ বছর বয়সের আগে এই পরিবর্তন দেখা দেয়, তখন একে চিকিৎসার পরিভাষায় ‘আগাম বয়ঃসন্ধি’ বলে। সামগ্রিকভাবে এই সমস্যা মেয়েশিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।


বয়ঃসন্ধির লক্ষণ


মেয়েদের স্তন ও ছেলেদের অণ্ডকোষ বড় হওয়ার মধ্য দিয়ে বয়ঃসন্ধির আগমন নির্দেশিত হয়। ক্রমান্বয়ে শরীরের বিশেষ স্থানে লোম গজানো, জননাঙ্গের বৃদ্ধি এবং ঋতুস্রাবের মধ্য দিয়ে মেয়েদের বয়ঃসন্ধি পূর্ণতা পায়। গড়পড়তায় ১০ বছরে মেয়েদের ও ১১ বছরে ছেলেদের এই পরিবর্তন শুরু হয়।


তবে দেশ, জাতি, পরিবেশ, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তি বিশেষের শরীরগত বৈশিষ্ট্যের তারতম্যে এই সময়ের সীমা কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। উন্নত দেশে এবং সামগ্রিকভাবে যাদের আর্থসামাজিক অবস্থা ভালো, এককথায় পুষ্টির প্রভাবে যেসব শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি অন্যদের তুলনায় বেশি, তাদের আগাম বয়ঃসন্ধির সম্ভাবনা বেশি। জাতি হিসেবে আফ্রিকানদের মধ্যে আগাম বয়ঃসন্ধির প্রবণতা বেশি। তাই কোনো কোনো আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সংগঠন মেয়েদের বয়ঃসন্ধির আগমনের বয়স কমিয়ে সাত বছর করার দাবি করছে।


বয়ঃসন্ধির আরেকটি লক্ষণ দ্রুত লম্বা হওয়া। তাই কোনো শিশু স্বাভাবিক বয়ঃসন্ধির বয়সের আগেই যদি সমবয়সীদের চেয়ে দ্রুত লম্বা হতে থাকে অথবা ওপরে উল্লিখিত বয়ঃসন্ধির কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তখনই আগাম বয়ঃসন্ধি সন্দেহ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us