ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুরের বাগমারী গ্রামের স্কুল শিক্ষক হারুন-অর-রশীদ মুসা। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন নিজের কৃষি খামার। নতুন নতুন ফল-ফসল চাষ করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। পেয়েছেন সাফল্যও। তার কৃষি সাফল্যের সুনাম এলাকা থেকে ছড়িয়ে গেছে সারাদেশে।
কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফসল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকা জরুরি অর্থাৎ জেনেবুঝে বিনিয়োগ করলে কৃষি থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। এখন জেনেবুঝেই দেশের বহু কৃষক, তরুণ উদ্যোক্তা এমনকি ভিন্ন পেশার মানুষও কৃষিমুখী হচ্ছেন, নিচ্ছেন বাণিজ্যিক উদ্যোগ। শিক্ষক মুসাও তেমনি একজন। শৈশব থেকেই তিনি কৃষিকে ভালোবাসেন। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে হাত লাগিয়েছেন। পরে কৃষির নেশায় চাকরি করেও পৈতৃক ভিটেমাটিকে শুধু ঐতিহ্য হিসেবে আঁকড়ে ধরে না রেখে বৈচিত্র্যময় ফল-ফসল উৎপাদন করতে চেয়েছেন। সাফল্য আনার প্রচেষ্টায় ছুটে বেড়িয়েছেন দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গতানুগতিক চাষাবাদের প্রথাকে ভেঙে গড়েছেন বাণিজ্যিক কৃষি খামার।