ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে শীতের আমেজ। সকালের দিকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন হলেও রাতে অনুভূত হচ্ছে শীতের হাওয়া। এই সময় সকলকেই থাকতে হচ্ছে সতর্ক। তা না হলে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। ফলে একে একে বের করা হচ্ছে শীতের পোশাক। গত এক বছর ধরে বাক্স বন্দী রয়েছে সকল শীত পোশাক। সেই সকল পোশাক তোলার আগে সবাই পরিষ্কার করে রাখেন। তেমনই বাক্সে যাতে তা নষ্ট না হয় সে ব্যবস্থাও করে রাখেন সকলে। কিন্তু, গত বছর পরিষ্কার করেছেন বলে বাক্স থেকে তা বের করে আবার পরে ফেলবেন না। শীত পোশাক পরার আগে দুটি কাজ অবশ্যই করা উচিত।
সবার আগে পোশাক কিংবা কম্বল পরিষ্কার করে নিন। দোকানে তা কাচাতে দিন। সেখানে বিশেষ উপায় পরিষ্কার করা হয় ফলে তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অধিকাংশই এগুলো পরিষ্কার না করে পরে ফেলেন কিংবা কম্বল গায়ে দিয়ে থাকেন। কিন্তু, যতই যত্ন করে রাখুন না কেন এতো ধুলো জমে যায়। বিশেষ করে শীতের পোশাকে ও কম্বলে দ্রুত ধূলা জমে। শীতের পোশাক ব্যবহারের আগে আরও যা করবেন-
শীতের পোশাক ও কম্বল বাক্স থেকে বের করে রোদে দিন। রোদে দিলে জীবাণু দূর হয়ে যায়। তেমনই দোকান থেকে পোশাক ও কম্বল পরিস্কার করে আনার পর তা রোদে দিন। সারা শীত জুড়ে এমনভাবে শীতের পোশাক রোদে দিন। এতে জীবাণু যেমন দূর হবে তেমনই ধুলা জমবে না।
কম্বল বা লেপে অবশ্যই কভার ব্যবহার করবেন। শীতের মৌসুমে অনেকেই ডাস্ট অ্যালার্জিতে ভোগেন। অধিকাংশ সময় শীতের পোশাকে ও কম্বলে ধুলা জমে থাকে। সেই ধুলা থেকেই এমন অ্যালার্জির সমস্যা দেখা যায়। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শীতের জিনিস ভালো করে পরিষ্কার করে রাখুন।
চাইলে বাড়িতেও শীতের পোশাক পরিষ্কার করতে পারেন। সোয়েটার পরিষ্কার করতে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। ডিটারজেন্টের সঙ্গে ২ চামচ ভিনেগার দিয়ে সেই পানি সোয়েটার পরিষ্কার করুন। অথবা শ্যাম্পু দিয়ে সোয়েটার পরিষ্কার করতে পারেন। এতে উপকার পাওয়া যাবে।