একে তো মহামারী ছেদ ঘটিয়েছে স্বাভাবিক পড়াশোনায়, তার মধ্যে বন্যায় পরীক্ষা পেছানো মনঃসংযোগে ঘটিয়েছে বিঘ্ন; এর মধ্য দিয়ে মাধ্যমিকের বৈতরণী পেরিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের শেখায় দুর্বলতা ধরা পড়েছে বিশেষজ্ঞদের চোখে। তাই কলেজমুখী এই শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি পূরণে বাড়তি পদক্ষেপের তাগিদ এসেছে।
মহামারী আর বন্যার বাধায় এবার সাত মাস পর ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসেছিল ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। সোমবার তাদের ফল প্রকাশিত হয়েছে।
তাতে দেখা যায়, এবার পাসের হার আগের বারের চেয়ে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে। এবার পাস করেছে ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী, গতবার এই হার ছিল রেকর্ড ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
নানা দৈব দুর্বিপাক পেরিয়ে আসা এই শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে বেশ কিছু দুর্বলতা ধরা পড়েছে শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তোফাজ্জুর রহমানের ভাষ্যে, “এবার যারা এসএসসি পাস করেছে, তারা কিন্তু মহামারীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা একেবারেই ক্লাস করতে পারেনি। অনলাইনে করেছে। গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনেও ক্লাস করতে পারেনি।”