ভারতের দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকার নামের এক তরুণীকে হত্যা করে মরদেহ ৩৫ টুকরো করার নৃশংস ঘটনার রেশ না কাটতেই দিল্লি পুলিশ আরও একটি একই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর জানিয়েছে। তবে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল গত জুনে দিল্লির পূর্বাঞ্চলের ত্রিলোকপুরিতে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দিল্লি পুলিশের অপরাধ শাখা জানিয়েছে, ছেলের সহায়তায় স্বামীকে খুনের অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহ থেকে তিনি ও তাঁর ছেলে মিলে স্বামীকে হত্যা করেছেন। এরপর মা ও ছেলে ওই মরদেহকে ২২ টুকরো করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে আশপাশের বেশ কয়েকটি পাড়ায় টুকরোগুলো ফেলে দিয়েছেন।
মাত্র কয়েক দিন আগেই ২৮ বছর বয়সী আফতাব পুনেওয়ালা নামের এক তরুণ তাঁর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর মরদেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে টুকরোগুলো দক্ষিণ দিল্লির মেহরাউলির জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিলেন বলে একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
এর আগে গত জুন মাসে পাণ্ডব নগরে একটি মরদেহের বেশ কয়েকটি টুকরো খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। তবে লাশের টুকরোগুলো পচে যাওয়ায় তদন্ত এগোয়নি। এ মাসের শুরুতে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলার ভয়াবহ বিবরণ সামনে আসার পর পুলিশ আবার নতুন করে পাণ্ডব নগরের ওই লাশের টুকরোর ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে।