আদালত ফটকের সামনে থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকেই একসঙ্গে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের, ঘটনার পর থেকেই তদন্তে যুক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা এটি বলে আসছেন।
২০ নভেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ওই চারজনসহ মোট ১২ জঙ্গিকে সন্ত্রাস দমন আইনের একটি মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকার আদালতে আনা হয়েছিল। হাজিরা দেওয়ার পর চার জঙ্গিকে আলাদা করে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, ওই চার জঙ্গিকে পুলিশ আলাদা করে হাজতখানায় নেবে—এটা কি জানতেন বাইরে থাকা তাঁদের সহযোগীরা।
আদালতের আসামিদের হাজতখানায় নেওয়ার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা কোনো কিছু না ভেবেই ওই চার জঙ্গিকে আলাদা করেছিলেন, নাকি ঘটনাটি পরিকল্পিত—এই নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
সেদিন হাজতখানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। চার জঙ্গিকে আলাদা করে হাজতে নেওয়ার বিষয়ে জানতে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার জসিম উদ্দীনের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেছে প্রথম আলো। তিনি ফোন ধরেননি। পরে এ বিষয়ে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।
অবশ্য ঘটনার পর হাজতখানার দায়িত্বে থাকা পুলিশের পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এরই মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।