টাইলস, টেবিলওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যারসহ আন্তর্জাতিকমানের সব ধরনের সিরামিক পণ্য তৈরি করছে বাংলাদেশের ৭০টি কম্পানি। অথচ তার পরও বছরে অন্তত এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার টাইলস আমদানি হচ্ছে দেশে। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে দেশে উৎপাদিত পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু বিলাসবহুল সিরামিক পণ্য আমদানিতে বিদেশে চলে যাচ্ছে বিশাল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা।
বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়সহ দেশীয় শিল্প বিকাশের স্বার্থে এখনই সিরামিক পণ্য আমদানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। রাজধানীর বাংলামোটর সিরামিক পণ্যের শোরুমগুলো সম্প্রতি ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ শোরুমেই দেশীয় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বিদেশি ব্র্যান্ডের সিরামিক পণ্য বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি ও বিদেশি ব্র্যান্ডের টাইলস ও স্যানিটারি পণ্যের মধ্যে তেমন পার্থক্য না থাকলেও এখনো অনেক ক্রেতা রয়েছেন যাঁরা বিদেশি ব্র্যান্ড ছাড়া ব্যবহার করতে ইচ্ছুক না। তবে এই সংখ্যাটি দিন দিন কমে আছে। এখন ৮৫-৯০ শতাংশ ক্রেতা দেশীয় ব্র্যান্ডের সিরামিক ব্যবহার করছেন।
বাংলামোটরের নিউ আরকে টাইলস অ্যান্ড স্যানিটারির শোরুমের সেলস এক্সিকিউটিভ ইমন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের শোরুমে দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের টাইলস বিক্রি হয়। বিদেশি ব্র্যান্ড থেকে দেশীয় ব্র্যান্ডের দামও অনেকটাই কম। তাই দেশি ব্র্যান্ডের টাইলসের চাহিদা বেশি। তবে এখনো বাজারে চায়নার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টাইলসের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে চাহিদার ১০-১৫ শতাংশ বিদেশি সিরামিক পণ্য বিক্রি হচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘যারা আগে থেকেই বিদেশি ব্র্যান্ডের সিরামিক পণ্য ব্যবহার করে অভ্যস্ত, তারা দেশীয় ব্র্যান্ড ব্যবহার করতে বেশি আগ্রহ দেখায় না। দেশে উন্নতমানের সিরামিক পণ্য থাকলেও তাদের নজর এখনো বিদেশি ব্র্যান্ডে। ’
বাংলাদেশ সিরামিক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিসিএমইএ) তথ্য মতে, বর্তমানে দেশের সিরামিক পণ্যের চাহিদার ৮৫-৯০ শতাংশ পূরণ করছে দেশীয় উৎপাদিত সিরামিক। বাকি ১০-১৫ শতাংশ সিরামিক পণ্য এখনো চীন, ভারত, ইতালিসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি হচ্ছে। গত অর্থবছরে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার সিরামিক পণ্য আমদানি হয়েছে।