আফগানিস্তানের একটি স্টেডিয়ামে হাজারও দর্শকের উপস্থিতিতে তিন নারীসহ ১২ জনকে প্রকাশ্যে চাবুক মেরে সাজা কার্যকর করেছে তালেবান।
ব্যাভিচার, চুরি, সমকামিতাসহ নানান ‘নৈতিক অপরাধে’ দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে তালেবানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
এ নিয়ে কট্টরপন্থি ইসলামিক গোষ্ঠীটি চলতি মাসেই দুইবার প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতে সাজা কার্যকর করল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ পদক্ষেপকে গোষ্ঠীটির গত শতকের ৯০ দশকের শাসনামলকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে; তালেবান যে ধীরে ধীরে ওই আমলের কঠোর বিধি-বিধানের জমানায় ফিরে যাচ্ছে, প্রকাশ্যে চাবুক মারাতেই তার ইঙ্গিত মিলছে বলে মত পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের।
স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে চাবুক মেরে সর্বশেষ এ সাজা কার্যকরের ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব আফগানিস্তানের লোগার অঞ্চলে।
সেখানকার তালেবান মুখপাত্র ওমর মনসুর মুজাহিদ জানান, চাবুক মারার পর তিন নারীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে পুরুষদের মধ্যে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি, কয়েকজনকে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে। তাদের সংখ্যা কত, তা জানাননি তিনি।
শাস্তি পাওয়া নারী-পুরুষদের ২১ থেকে ৩৯টি করে চাবুক মারা হয়েছে। এক ব্যক্তির জন্য সর্বোচ্চ ৩৯বার চাবুকের আঘাত বরাদ্দ, বলেছেন আরেক তালেবান কর্মকর্তা।