রাত পোহালে শুরু হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকেই চমক দিতে চাইছে মধ্য প্রাচ্যের এই দেশ। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কাতার খেলবে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে। চলছে কাউন্টডাউন। কাতার বিশ্বকাপ এবার ইতিমধ্যেই গড়ে ফেলেছে একাধিক রেকর্ড।
রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে অবকাঠামো নির্মাণে
বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব ২০১০ সালে পায় কাতার। প্রস্তুতি খাতে কাতার খরচ করেছে ২২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাতারে বিশ্বকাপ হবে মোট আটটি স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামগুলি কাছাকাছি হওয়ায় ফুটবলপ্রেমীরা একই দিনে দুটি ম্যাচও দেখতে পারবেন মাঠে বসেই। ৬টি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ ও দুটির সংস্কার এবং দলগুলির অনুশীলনের মাঠ প্রস্তুত করতে প্রাথমিকভাবে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সেই গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
ইউএস স্পোর্টস ফিনান্স কনসালট্যান্সি ফ্রন্ট অফিস স্পোর্টসের তথ্য মতে, বিমানবন্দরের মানোন্নয়ন, নতুন রাস্তা তৈরি, অভিনব হাব ও হোটেল তৈরি এবং অত্যাধুনিক ব্যবস্থাসম্পন্ন মাটির তলা দিয়ে যাতায়াতের বন্দোবস্ত ইত্যাদি খাতে খরচ করা হয়েছে ২১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দোহাতে দ্য পার্ল নামে আবাসন তৈরিতে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করা হয়েছে। দোহা মেট্রোর জন্য খরচ হয়েছে ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অবকাঠামো তৈরিতে কয়েক বছর ধরে প্রতি সপ্তাহে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কাতারের অর্থমন্ত্রী। ২০১৮ সালে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ হয়েছিল। সেখানে অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়েছিল ১১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের সময় এই খাতে খরচ হয়েছিল ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় লেগেছিল ৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০০৬ সালে জার্মানিতে খরচ হয়েছিল ৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবকাঠামো তৈরিতে খরচ হয়েছিল ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সে ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০০২ সালে জাপানে লেগেছিল ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।