টক শোর দুর্ভিক্ষ ও বাস্তবের দুর্ভিক্ষ

কালের কণ্ঠ আবদুল মান্নান প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১৩:২৯

বাংলাদেশে টেলিভিশনের টক শো বেশ জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান। কখনো বিনোদনমূলক আবার কখনো বা বেশ বিরক্তিকর। আর এটি ধরে নেওয়া যায় এসব শোর আলোচকরা যখন কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হন, তাঁরা সব সময় একই বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী কথা বলেন। কয়েক দিন আগে একটি জনপ্রিয় টক শোর বিষয় ছিল ২০১৩-২০১৫ সালের জামায়াত-বিএনপির আগুনসন্ত্রাস। অনুষ্ঠানে যিনি বিএনপির মুখপাত্র ছিলেন, তিনি এই সেদিনের ঘটনা বেমালুম চেপে গেলেন। শুধু বলতে বাকি রেখেছেন কই এমন কোনো কিছু তো এই দেশে হয়নি। এই ভদ্রলোক একসময় ছাত্রলীগের একজন ডাকসাইটে নেতা ছিলেন। এখন বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ মুখপাত্র।


যেহেতু আমি নিজেও মাঝেমধ্যে এমন কিছু অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি, সেই কারণে এ নিয়ে দু-একটি কথা বলতে পারি। বর্তমান সময় বিএনপি নামের দলটি রাজপথে বেশ সরব। পারলে কালই তারা বাংলাদেশের শাসনক্ষমতা দখল করে। অবশ্য বিএনপির এক শীর্ষ নেতা তো বলেই দিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরের ১০ তারিখ থেকে দেশ চালাবেন খালেদা জিয়া আর তারেক রহমান। অবশ্য তা কিভাবে হবে তা তাঁরা এখনো পরিষ্কার করেননি। অপেক্ষা করতে হবে। একজন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা, বর্তমানে একটি ওয়ানম্যান পার্টির সভাপতি, তিনি প্রতিদিন টোকা দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। রাজনীতিকে তিনি ক্যারম খেলার পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।


আমি টক শোর পোস্টমর্টেম করতে বসিনি। তবে কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী হয়েছি। কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের এক দলীয় সভায় নির্দেশনা দিয়েছেন, কেউ যদি টক শোতে অংশগ্রহণ করেন, তিনি যেন একটু লেখাপড়া করে প্রস্তুতি নিয়ে যান। আজকাল মানুষ অনেক বেশি সচেতন। যুগটা তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী কোনো কোনো টক শো বা টিভির আলোচনা অনুষ্ঠান দেখেন এবং এটাও জানতে পারেন, তাঁর সরকার বা দলের হয়ে যাঁরা কথা বলতে যান, তাঁরা সবাই সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে যান না। বর্তমান সময়ে এসব টক শো বা আলোচনাসভায় সরকারকে ঘায়েল করার যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিরোধী পক্ষ চেষ্টা করে, তার অন্যতম হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের ঘাটতি আর ২০২৩ সাল নাগাদ দেশে খাদ্যঘাটতি বা দুর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করতে পারে সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর আগাম সতর্কবার্তা। প্রসঙ্গে টেনে এনে বিরোধী শিবিরের পণ্ডিতজনরা বলেন, দেশ নাকি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কেন দুর্ভিক্ষের কথা বলেন? প্রধানমন্ত্রী তো এ কথা নিজ থেকে আবিষ্কার করেননি। এই আগাম বার্তাটি এসেছে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা আর ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার সংস্থা (ফাউ) থেকে। তারাই আগাম বার্তা দিয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসে। ২০২৩ সালে নানা কারণে বিশ্বে শুধু অর্থনৈতিক মন্দাই দেখা দেবে না, বিভিন্ন দেশে খাদ্যঘাটতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেবে, যা মানুষের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলবে। যেসব দেশে খাদ্যঘাটতি দুর্ভিক্ষে রূপ নিতে পারে, এসব সংস্থা এরই মধ্যে তার একটা সম্ভাব্য তালিকা প্রকাশ করেছে, যার বেশির ভাগই আফ্রিকার দেশ। এশীয় দেশগুলোর মধ্যে আছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us