গত সপ্তাহে ওয়াজিরাবাদে যে ঘটনা ঘটে গেল, সম্ভবত সেটা আগের কোনো গল্পেরই পুনরাবৃত্তি। ইমরান খানের ওপর বন্দুক হামলা পুরো দেশকে গভীর নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সন্দেহভাজন হামলাকারী গ্রেপ্তার হলেও হামলার উদ্দেশ্য এখনো রহস্যাবৃত থেকে গেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খুব দ্রুত এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে দায়ী করেছেন। তিনি তাঁদের নামও উল্লেখ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে ইমরান সেনাসদর দপ্তরের বিরুদ্ধে একধরনের যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এ হামলা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে বারুদের জোগান দিয়েছে। তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পাকিস্তান তাদের চলমান লংমার্চ কর্মসূচিতে এ ঘটনাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
একটি সংকটময় রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়া সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর পিটিআইয়ের তরফে চাপ তৈরি করার ব্যাপারটি হিসাব-নিকাশ করেই করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। প্রেসিডেন্টের কাছে লেখা চিঠিতে ইমরান ‘ক্ষমতার অপব্যবহার এবং আইন ও সংবিধানের লঙ্ঘন’-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইমরান তাঁর চিঠিতে পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল করে দিচ্ছে যেসব ‘গুরুতর অন্যায় কাজ’, সেগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি দোষী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনার কথা বলেন।