বিশ্বের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও মর্যাদাপূর্ণ র্যাঙ্কিং সংস্থা ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ সম্প্রতি ২০২৩ সালের জন্য পৃথিবীব্যাপী সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানভিত্তিক একটি তালিকা প্রণয়ন করেছে। সম্মানজনক এই র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। পাশের টেবিলে এর একটি তালিকা ও অবস্থান উল্লেখ করা হলো। সংগত কারণেই, সবার বদ্ধমূল ধারণা ছিল এই যে তালিকার প্রথমে নিশ্চিত করেই অবস্থান থাকছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর বুয়েটের।
কিন্তু না, এবারের র্যাঙ্কিংয়ে বড় চমক ছিল বুয়েটকে ছাড়িয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উঠে আসা। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সার্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল যৌথভাবে প্রথম। উভয়ে, বৈশ্বিক তালিকায় ৬০১-৮০০–এর মাঝে অবস্থান করছে। এ তালিকায় ২য় স্থানে বুয়েট, বাকৃবি ও কুয়েট ১২০১-১৫০০। তবে বিষয়ভিত্তিক তালিকায় ছিল সবচেয়ে বড় চমক! সার্বিক তালিকা যা–ই হোক, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’–এ বুয়েটকে ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, এমনটি ভাবা হয়েছিল। তবে এবারও বিপর্যয়, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’–এর তালিকায় প্রথম নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ২য় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর ৩য় বুয়েট।
বিষয়টি অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। নানা মহলে এ নিয়ে গুঞ্জন। ‘আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর নেওয়ার’ মতো এ বিষয়ে অনভিজ্ঞরাও আনাড়ির মতো বিশ্ব বিখ্যাত র্যাঙ্কিং সংস্থা ‘টাইমস’–এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো ধৃষ্টতাও দেখাচ্ছেন। তবে প্রশ্ন তো একটি রয়েই যাচ্ছে, কেন এমনটি হলো?
প্রথমেই দেখা যাক, তালিকায় আর সব দেশের অবস্থান বা প্রথম দশটি বিশ্ববিদ্যালয় কেমন। প্রথম অক্সফোর্ড, দ্বিতীয় হার্ভার্ড, তৃতীয় ক্যামব্রিজ, চতুর্থ স্ট্যানফোর্ড, পঞ্চম এম আই টি, ষষ্ঠ ক্যালটেক, সপ্তম প্রিন্সটন, অষ্টম ইউ সি বার্কলে, নবম ইয়েল এবং দশম ইম্পিরিয়াল কলেজ, লন্ডন। পৃথিবীর যেকোনো র্যাঙ্কিং তালিকায় দশটি বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই প্রথম দিকে থাকে। হ্যাঁ, লন্ডনভিত্তিক হওয়ায় ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি কিছুটা অনুরাগ আছে হয়তোবা, তবে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি কোনো বিরাগ বা যেনতেনভাবে র্যাঙ্কিংটি সম্পন্ন করে ফেলা হয়েছে, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই।