নোয়াখালীতে গত এক মাসে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে তিন স্কুলছাত্রী বখাটের হামলার শিকার হয়েছে। সবশেষ ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার শহরের বছিরার দোকান এলাকায়। স্থানীয় একটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর হাতে ছুরিকাঘাত করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় দুই দুর্বৃত্ত। এ ধরনের হামলার ঘটনায় অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে নোয়াখালীর মানবাধিকারকর্মী আবদুল আউয়ালের সঙ্গে।
আবদুল আউয়াল: আগে ছিল পথে-ঘাটে ইভটিজিং। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সহিংসতা। পর পর যে তিনটি ঘটনা ঘটল, তিনটি ঘটনা অনেকটা একই রকম। এটা ভালোভাবে তলিয়ে দেখা দরকার। এই অপরাধের তলা খুঁজতে হবে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক দলবাজির কোনো সম্পর্ক আছে কি না, দেখতে হবে। কারণ, এ ধরনের কিশোর-তরুণ ঘটনা ঘটানোর পর কলার ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে বাসে বাচ্চাদের বাড়ি থেকে স্কুলে নিয়ে যায়। আমাদের এখানে যদি এমন ব্যবস্থা চালু করা যেত, তাহলে বখাটেরা হয়রানি করতে পারত না। তা ছাড়া পাড়ার ছেলেরা যাতে কোনো মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে না পারে, সে জন্য পাড়ায় পাড়ায় সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার কাজটি করতে হবে শিক্ষকদের। স্কুলে মেয়েদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখাতে হবে।
বড় ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা ভালো। কিন্তু কিশোর অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা তেমন দেখা যায় না। কারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে, পুলিশের কাজ তাদের চিহ্নিত করা। স্কুলগুলোর সামনে পুলিশের কোনো দল থাকে না। এসব এলাকায় পুলিশের টহল বাড়াতে হবে। পুলিশ যদি বলে অপরাধের পর মানুষ অভিযোগ নিয়ে আসবে, তা হলে পুলিশের ভূমিকা কী?