বিপর্যয়ে দেশের জ্বালানি খাত। দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে শেল অয়েলের মালিকানায় থাকা পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র ক্রয়ের মাধ্যমে দেশের গ্যাস খাতের নিজস্ব ভিত্তি তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ, গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উত্তোলনে দূরদর্শিতার অভাবে সংকট ঘনীভূত হয়েছে অনেক বেশি। দেশের গ্যাস খাত নিয়ে তিন পর্বের ধারাবাহিকের আজ প্রথম পর্ব
পেট্রোবাংলার হিসাবে দেশে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। এর মধ্যে স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময়ে মজুদ ছিল ১২ টিসিএফ গ্যাস। আশির দশকের শেষ নাগাদ আবিষ্কৃত পাঁচ গ্যাসক্ষেত্র থেকে মিলেছে প্রায় আড়াই টিসিএফ (২ হাজার ৪০৮ বিসিএফ) গ্যাস। নব্বইয়ের দশকে আবিষ্কৃত ছয়টি গ্যাসক্ষেত্রে মজুদের পরিমাণ ছিল ১১ টিসিএফের (১১ হাজার ২৯ বিসিএফ) বেশি। এরপর দেশে আরো ছয়টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়, যাতে মজুদ গ্যাসের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ২ টিসিএফ (২ হাজার ২৪৪ বিসিএফ)। অর্থাৎ দেশে গ্যাস মজুদ সবচেয়ে বেশি (এক-তৃতীয়াংশ) বেড়েছে গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকেই।