প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী পড়েছেন ‘মাইনকার’ প্যাঁচে। ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ তার অবস্থা। অবশ্যই জ্বালানি গ্যাস ও বিদ্যুৎ নিয়ে। ব্যবসায়ীরা তার সামনে হাজির করেছেন নানা বিকল্প। কিসের জন্য কী বিকল্প? তারা বলছেন, তাদের গ্যাস দরকার। গ্যাসের অভাবে তাদের মিল-কারখানা দিনের অর্ধেক সময় বন্ধ থাকছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে জয়দেবপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম সর্বত্রই শিল্পের একই অবস্থা।
গ্যাস কখন আসবে, কখন থাকবে, কতক্ষণ থাকবে তা কেউ জানে না। ফলে তারা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, রপ্তানির আদেশ বাতিল হচ্ছে। ব্যাংকের দেনা বাড়ছে, ব্যবসায়ীরা কিস্তি দিতে পারছেন না-ফলে ‘ডিফল্টার’ হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। অথচ একমাত্র বস্ত্র খাতেই ১ লাখ ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োজিত। এর সিংহভাগ ব্যাংক ঋণ। তারা বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন। চোখেমুখে অন্ধকার।
এভাবে চললে শ্রমিক ছাঁটাই করা ছাড়া তাদের উপায় নেই। এসব সমস্যার কথা জানানোর জন্য তারা বসেছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সঙ্গে। উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন সমাধানের কথা। ব্যবসায়ীরা তাদের অনেক সুপারিশ উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেছেন। অসহায় উপদেষ্টা নানা কথা শুনে শেষ পর্যন্ত বলেই ফেলেছেন, প্রয়োজনে আমরা দিনের বেলা কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না। কী সাংঘাতিক কথা! এর ‘মাজেজা’ বুঝে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মামুদ এক বিবৃতিতে বলেছেন-না, এমন কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সরকার এসব নিয়ে ভাবছে না।