করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা। ঠিক সেই সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। মহামারি ও যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে। আন্তর্জাতিক বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে জ্বালানি তেলের দাম। এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশেও। সঙ্গে বিষফোড়া হয়ে দেখা দেয় মার্কিন ডলারের সংকট। দেশেও রেকর্ড দাম বাড়ানো হয় জ্বালানির। গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদনেও ভাটা পড়ে। এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু করে সরকার। এমন বহুমুখী সংকটে রীতিমতো ধুঁকছে দেশের ভারী শিল্প। ফলে একদিকে কমেছে উৎপাদন, অন্যদিকে বেড়েছে খরচ। এতে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিমুখী উদ্যোক্তারা।
রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্টরা বলছেন, তৈরি পোশাক, সার, সিমেন্ট, সিরামিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারকদের উৎপাদন কমেছে ৩০-৫০ শতাংশ। গ্যাস সংকট ও লোডশেডিংয়ের সময়ও ডিজেলচালিত জেনারেটরে কারখানা সচল রাখতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৫০-৬০ শতাংশ। অপর্যাপ্ত জ্বালানিতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় অর্ডার থাকলেও সময়মতো পণ্য রপ্তানি করতে পারছেন না তারা। দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তারা আশার কথা শুনতে পারছেন না। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে ভাবমূর্তি হারাতে বসেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম এখনো চড়া। সেই সঙ্গে দেশে মার্কিন ডলারের সংকট। এ কারণে সরকার খোলাবাজার থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানি বন্ধ রেখেছে। এতে গ্যাসের সরবরাহ ৭-৮ শতাংশ কমেছে। জ্বালানি সংকটে বিদ্যুতের উৎপাদন কমেছে। ফলে দেশজুড়ে বেড়েছে লোডশেডিং।
বিজ্ঞাপন