ওপেনিংয়ে কারা আসেন, আগ্রহ ছিল সেটি নিয়ে। চোট কাটিয়ে ফেরা লিটন দাস, নুরুল হাসান, ইয়াসির আলীর পারফরম্যান্সের দিকেও ছিল নজর। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ব্যর্থই হয়েছে, ফেরার ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন-ইয়াসিরও। নুরুল হাসান অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ৩৫ রানে রানে। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ১৫৮ পর্যন্ত গেছে মূলত আফিফ হোসেনের ৫৫ বলে ৭৭ রানের ক্যারিয়ারসর্বোচ্চ ইনিংসে। ৬ষ্ঠ উইকেটে আফিফ ও নুরুল যোগ করেছেন ৮১ রান, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এটি সর্বোচ্চ। আগের যৌথ সর্বোচ্চ জুটিতেও ছিলেন নুরুল, ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে যোগ করেছিলেন ৫৭ রান।
সাব্বির রহমানের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ—এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচের ওপেনিং জুটিই আসে আবার। তবে ঠিক সফল হয়নি সেটি। দ্বিতীয় ওভারে সাবির আলীর শর্ট বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে তুলে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন সাব্বির, ৩ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি তিনি।
চোট কাটিয়ে ফেরা লিটন দাস তিনে নেমে শুরুটা ইতিবাচকই করেন, সাবির আলীর পর আয়ান খানকেও চার মারেন। ১৬ বছর বয়সী অভিষিক্ত বাঁহাতি আয়ানকে সুইপ করার পর আবার স্লগ করতে গিয়ে অবশ্য বিপদ ডেকে আনেন লিটন। লেংথটা সুইপের জন্য উপযুক্ত ছিল না মোটেও, সেটিতে জোরের ওপর খেলতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন তিনি, ১৩ বলে ৮ রান করে।
শুরুতে বলের মুভমেন্টের সঙ্গে ধাতস্থ হতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল মিরাজের। জাওয়ার ফরিদকে টেনে একটি চার মেরেছিলেন, শেষ পর্যন্ত তাঁর শর্ট বলেই ফিরতে হয় তাঁকে। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ক্যাচ তোলেন ১৪ বলে ১২ রান করে। নিজেই পেছন দিকে ছুটে ক্যাচ নেন ফরিদ। বাংলাদেশের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান মিলে আজ করেন মাত্র ২৫ রান।