প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিরাপদ ও উপযুক্ত বাসস্থান প্রত্যেক ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। গৃহহীনতার অভিশাপ দূর করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি বৈশ্বিক অংশীদারত্ব জোরদারেরও আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) ‘টেকসই ও সাশ্রয়ী আবাসন’ বিষয়ক একটি পার্শ্ব অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
গৃহহীনতার সমস্যা নিজে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গৃহহীনতা সত্যিই একটি অভিশাপ। এটি উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, এই অভিশাপ দূর করার বিষয়টি আমাদের সামর্থ্যের মধ্যেই রয়েছে। এখানে সমবেত হওয়া আমাদের সব বন্ধু ও অংশীদাররা এর বাস্তবায়নে একটি দৃঢ় অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে পারেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সাড়ে ১৬ কোটির একটি জনবহুল দেশ হয়েও বাংলাদেশ গৃহহীনতার বিষয়টি সফলভাবে সমাধান করতে পেরেছে। আমরা গৃহহীন-ভূমিহীন লোকজনকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর দিয়েছি। আমি আজ এখানে এসেছি সারাদেশে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্যে টেকসই ঘর নির্মাণে আমার সাফল্যের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উন্নয়নের অগ্রাধিকার হিসেবে ভূমিহীন, গৃহহীন ও শেকড়হীন মানুষকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, গত দুই দশকে আমাদের সরকার সবার জন্য বিনামূল্যে আবাসন নিশ্চিত করতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কেবল গত দুই বছরই দুই লাখ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ১০ লাখ লোকের আশ্রয় জুটেছে।
‘আমার প্রধানমন্ত্রিত্বকালে ১৮ বছরে আমরা পাঁচ লাখেরও বেশি ঘরে ৩৫ লাখ গৃহহীন লোকের থাকার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া বর্তমানে আরও ৪০ হাজার ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি পরিবার চারশ স্কয়ার ফুট আয়তনের দুই বেডরুম, একটি লম্বা বারান্দা, একটি রান্নাঘর ও একটি স্যানিটারি ল্যাট্রিনসহ ইটের তৈরি একটি বাড়ির মালিকানা পাচ্ছে।’