অপুষ্টিতে আক্রান্ত মায়ের শিশু অপুষ্টি নিয়ে জন্মাতে পারে এবং ওই মা গর্ভকালীন ও প্রসব–পরবর্তী নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারেন। তাই গর্ভধারণের আগে থেকে মাকে তাঁর স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে।
মা যদি কৃশকায় হন বা বেশি ওজনের হন, তবে উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন অর্জন করতে হবে প্রথমে। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে হবে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়েদের গর্ভধারণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ৩–৫ মাস আগে থেকে খাওয়ার বড়ি বাদ দিয়ে ইনসুলিন নেওয়া শুরু করতে হবে। রক্তে হিমগ্লোবিন এ১সি–এর মাত্রা ৬.৫ শতাংশের কাছাকাছি এলে চিকিৎসকের সম্মতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে হবে।
গর্ভধারণের আগে যদি মা আয়রনের ঘটতিতে ভোগেন, তবে তিনি গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘটতিজনিত রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন। তাঁর সন্তানও আয়রনের ঘটতি নিয়ে জন্মাতে পারে। আয়রনসমৃদ্ধ খাবার হলো মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা, কচুশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, ফুলকপির পাতা, ছোলাশাক, ধনেপাতা, তরমুজ, কালোজাম, খেজুর, পাকা তেঁতুল, আমড়া।
আবার মা যদি গর্ভধারণের আগে ক্যালসিয়ামের ঘটতিতে ভোগেন, তবে তিনি প্রসব–পরবর্তী ক্যালসিয়ামের ঘাটতিজনিত নানা অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন। ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, দই, পনির, কাঁচা বাদাম, সয়াবিন, আখরোট, সামুদ্রিক মাছ, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, কচুশাক, শজনেপাতা, পুদিনাপাতা, কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, চিংড়ির শুঁটকি, ডুমুর ইতাদি খেতে হবে এবং সেই সঙ্গে কিছু সময় হালকা রোদে (ভিটামিন ডি পেতে) নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতে হবে।