ব্রিটিশদের ২০০ বছরের শাসন, কিংবা তারও আগে এ উপমহাদেশে ছিল সুলতানি, মোগল শাসনামল। পুরোসময় জুড়েই বাংলা কখনও ছিল স্বাধীন, কখনও নবাবদের অধীনে, আবার অঞ্চলভেদে জমিদারি শাসনও ছিল প্রচুর। ব্রিটিশরা চলে গেছে সেই কবেই, তবে নিয়ে গেছে এদেশের অমূল্য রত্নভান্ডার। এসব কথা অজানা নয় কারোরই। তবে এরপরও রয়ে গেছে সেইসব দিনগুলোর টুকরো টুকরো স্মৃতিচিহ্ন। এরমধ্যে কিছু সংরক্ষিত আছে জাদুঘরে, কিছু আবার শোভা পেয়েছে সৌখিন সংগ্রাহকদের ঘরে।
এমনই এক অ্যান্টিক ও ভিন্টেজ সংগ্রহকারীদের নিয়েই এ প্রতিবেদন। জানাবো ৪ হাজার সদস্যের এমনই এক গ্রুপের কথা। যে গ্রুপে শুধু সংগ্রহই নয় রয়েছে সংগ্রহকারীদের সংগ্রহের পেছনের গল্পও।
কী কী বিক্রি হয়?
ডাকটিকিট, পয়সা থেকে শুরু করে রুপা, তামা, পেতলের তৈজসপত্র সবই বিক্রি হয় এই গ্রুপে। তবে এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে বা হবে এমন পণ্য, যার ঐতিহাসিক মূল্য প্রচুর, এমন সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। গ্রুপটি ঘুরলেই কখনো দেখা মিলবে বেলি রুপা বা জার্মান সিলভারে কারুকার্য করা কাঁটাচামচের সেট।
মোট ১২টি চামচের এ সেটের প্রতিটির উচ্চতা ৭.৫ ইঞ্চি, প্রতিটির ওজনই ৫১ গ্রামের মতো। ব্রিটিশ পিরিয়ডে অভিজাত পরিবারগুলোতে এ ধরনের চামচ ব্যবহৃত হতো বলে জানালেন গ্রুপটির অ্যাডমিন মোহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম। কখনও পেতলের কারুকার্য করা ফুলদানি, বাটি, আবার গ্রামোফোন বা ১৯ শতকের পুরোনো ক্যাসেট প্লেয়ারের দেখা মেলে অহরহ।
অভিজ্ঞতার ঝুলি
কথা হচ্ছিল এস কে দাস নামে গ্রুপটির এক সংগ্রাহকের সঙ্গে। জানালেন তার বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার কথা।
তখন তেজগাঁ ফ্লাইওভারের নিচের এলাকায় ভাড়া থাকতেন। একদিন গলির চা দোকানে চা খাওয়ার সময় কথা বলছিলেন পুরোনো জিনিসপত্র সংগ্রহের বিষয়ে। হঠাৎ করে এক অপরিচিত ভদ্রলোক জানালেন, তাকে বেশ পুরোনো আমলের একটি গ্রামোফোন যোগাড় করে দিতে পারবেন, তবে সময় লাগবে। শুনে বেশ আগ্রহী উঠলেন, রাজিও হয়ে গেলেন। যথাসময়ে গ্রামোফোন নিয়ে হাজির সেই ব্যক্তি। সাধের সেই গ্রামোফোন হাতে পাওয়ার পর জানলেন চৌর্যবৃত্তি নাকি ওই `ভদ্রলোকের' পার্ট টাইম জব!