‘এসপির সম্পদ ৩ কোটি টাকার, স্ত্রীর সাড়ে ১৩ কোটি’। সম্প্রতি এরকম একটি সংবাদ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ তোলপাড় হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এবং ব্যাংক ও আর্থিক খাত থেকে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে; যেখানে শত কোটির নিচে কোনও দুর্নীতির খবর এখন আর গণমাধ্যমের জন্যও খুব বড় খবর নয় বলে মনে করা হয়—সেখানে একজন পুলিশ সুপারের তিন কোটি বা তার স্ত্রীর নামে ১৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়াটা খুব বিস্মিত হওয়ার মতো খবর কিনা, সেটিই প্রশ্ন।
বস্তুত একজন পুলিশ সুপার বা থানার ওসির যে ক্ষমতা ও এখতিয়ার এবং তাদের দুর্নীতি করার যে অবাধ সুযোগ রাষ্ট্রে বিদ্যমান, সেখানে একজন এসপির তিন কোটি নয়, তিনশো বা তিন হাজার কোটি টাকার সম্পদ থাকলেও এখন আর মানুষ বিস্মিত হয় না।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সমকালে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সুভাষ চন্দ্র সাহা নামে একজন পুলিশ সুপারের নিজের নামে প্রায় ৩ কোটি টাকার এবং স্ত্রীর নামে ১৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সুভাষ চন্দ্র সাহা এই সম্পদ অর্জন করেছেন। তবে দুর্নীতির দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কৌশলে সিংহভাগ সম্পদ রেখেছেন স্ত্রীর নামে। সুভাষ চন্দ্র সাহা বর্তমানে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত। এসপি সুভাষ আরও বছর পাঁচেক আগেই সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন। মূলত তখন থেকেই তার ব্যাপারে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলো দুদক। সম্প্রতি সেই অনুসন্ধানের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।