রাগ নিয়ন্ত্রণে হাদিসের বর্ণিত তিন উপায়

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১৪

হাদিসে বর্ণিত রাগ নিয়ন্ত্রণের কয়েকটি উপায় বর্ণনা করা হয়েছে। রাসুল (সা.) নানা অবস্থার প্রেক্ষাপটে তা বর্ণনা করেছেন।   


এক. দোয়া পাঠ


সুলাইমান ইবনে সুরাদ (রা.) বলেন, দুই ব্যক্তি রাসুলাল্লাহ (সা.)-এর সামনে পরস্পরকে গালি দিতে লাগল। তাদের একজনের চোখ লাল হতে থাকে ও ঘাড়ের রগ মোটা হতে থাকে।


রাসুল (সা.) বলেন, আমি অবশ্যই এমন একটি বাক্য জানি এ ব্যক্তি তা বললে নিশ্চয়ই তার রাগ চলে যাবে। তা হলো : «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ»


উচ্চারণ : আউজুবিল্লাহি মিনাশ-শাইতনির রজিম।


অর্থ : আমি অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। এরপর লোকটি বলল, আপনি কি আমার পাগল ভাব দেখছেন! (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮১)


দুই. স্থান পরিবর্তন


রাগ নিয়ন্ত্রণের আরেকটি পদ্ধতি হলো, অবস্থান পরিবর্তন করা। বর্তমানে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরাও রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য অবস্থার পরিবর্তন করে মনোযোগ অন্য দিকে নেওয়ার পরামর্শ দেন। আবু জার (রা.) বলেন, রাসুলাল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কারো যদি দাঁড়ানো অবস্থায় রাগের উদ্রেক হয় সে যেন বসে পড়ে। এতে যদি তার রাগ দূর হয় তো ভালো, অন্যথায় সে যেন শুয়ে পড়ে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮২)


তিন. অজু করা


রাগ নিয়ন্ত্রণের আরেকটি পদ্ধতি হলো, অজু করে নেওয়া। আবু ওয়াইল আল-কাস (রহ.) বলেন, একদা আমরা উরওয়াহ ইবনে মুহাম্মদ আস-সাদির কাছে গেলাম। তখন এক ব্যক্তি তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে তাকে রাগিয়ে দিল। (সঙ্গে সঙ্গে) তিনি দাঁড়িয়ে অজু করলেন। অতঃপর বললেন, আমার বাবা আমার দাদা ‘আত্তিয়্যাহ (রা.) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, রাগ হচ্ছে শয়তানি প্রভাবের ফল। শয়তানকে আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর আগুন পানি দিয়ে নেভানো যায়। অতএব তোমাদের কারো রাগ হলে সে যেন অজু করে নেয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮৪)

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us