তিস্তা: আশার ছলনে ভুলি

সমকাল মোশতাক আহমেদ প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৫২

তিস্তা ইস্যুতে আবারও আশ্বাস আর আশা নিয়েই ভারত থেকে ফিরতে হলো বাংলাদেশকে। খুব প্রত্যাশিত না হলেও অনেকে ভেবেছিলেন, যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র এক বছরের মতো বাকি, এবার হয়তো কিছু একটা ঘটবে। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম যখন দিল্লির বাংলাদেশ হাউসে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। চায়ের টেবিল থেকে সামাজিক মাধ্যম- সব জায়গায়ই তিস্তা প্রসঙ্গ। হলো না, হলো না- এবারও হলো না! কিন্তু কেউই প্রশ্ন তুলছেন না, আদৌ কি কিছু হওয়ার কথা ছিল?


রাষ্ট্রীয় কূটনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহালমাত্রই জানেন, কোনো দেশের সরকারপ্রধান যখন অন্য দেশে সফরে যান তখন কী কী চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, প্রটোকল ইত্যাদি সই করা হবে তা আগে থেকেই ঠিক করা থাকে। এমন নয় যে একজন সরকারপ্রধান গেলেন, আলোচনা করলেন আর সঙ্গে সঙ্গে একটা চুক্তি সই হয়ে গেল। উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে যে কোনো বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় কোনো চুক্তি চূড়ান্তকরণের আগে অনেক ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত দলিলে স্বাক্ষর করা হয়। এই কাজটা করেন দুই দেশের আমলা বা পেশাদার কূটনীতিকরা। প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দুই দেশের মধ্যে চুক্তির খসড়া বিনিময় করা হয় এবং সব শেষে আসে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের প্রশ্ন। যাঁরা চুক্তি হলো না, হলো না বলে কপাল চাপড়াচ্ছেন, তাঁরা কি এ বিষয়গুলো ভেবে দেখেছেন? তবে হ্যাঁ, রাজনৈতিক মতৈক্যের ক্ষেত্রটা অন্তত তৈরি করা যেত। কিন্তু সেটাই হলো না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সুকৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন। এমনকি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি 'তিস্তা' শব্দটিও উচ্চারণ করলেন না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us