শয়তানকে পরাজিত করে গভীর মনোযোগের সঙ্গে সেজদা দিতে পারা সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যের বিষয়। এমন কিছু উপায় আছে, যেভাবে সেজদা দিলে শয়তান পরাজিত হয় মুমিন সফল হয়। সেজদায় গভীর মনোযোগ ধরে রাখার সেই উপায়গুলো কী? সেজদায় আল্লাহর সঙ্গে কথা বলে মুমিন। মহান রবের প্রশংসা গুণগান গায়। নিজেদের মনে একান্ত অপারগতাগুলো তুলে ধরে।
তাই সেজদাকে প্রাণবন্ত করে তোলা খুবই জরুরি। সেজগায় গভীর মনোযোগী হতে যে কাজগুলো করতে হবে। তহোলো-
১. আল্লাহর সামনে নিজেকে তুচ্ছ মনে করা মানুষ আল্লাহর সামনে নাক ও কপাল ঠেকিয়ে সেজদা করেন। আল্লাহর বড়ত্ব ও মমত্বের কাছে নিজেকে তুচ্ছ মনে করার মাধ্যমে সেজদায় গভীর মনোযোগী হওয়া যায়। আল্লাহর বড়ত্ব ও মমত্বের কথা ভাবার সঙ্গে নিজেদের গুনাহের বোঝাও চিন্তা করা যায়। তখনই নিজেকে মনে হবে তুচ্ছ। এ অনুভূতিই মানুষকে জমিনে কপাল ঠেকিয়ে আল্লাহর সেজায় লুটিয়ে পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দেবে।
২. আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার অনুভূতি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বান্দা যখন সেজদায় থাকে তখন আল্লাহর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে। সেজদার সময় এই হাদিসটি বেশি বেশি স্মরণ রাখা জরুরি। এ হাদিসের স্মরণও সেজদায় গভীর মনোযোগী হওয়ার উপায়। ৩. ব্যথিত হৃদয়ের প্রার্থনা দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনের সঙ্গে সাক্ষাতে মানুষের হৃদয় যেমন বিগলিত হয়ে পড়ে, তেমনি আল্লাহর সঙ্গে সেজদায় সাক্ষাৎ করতে পেরে এর চেয়েও বিগলিত হওয়া জরুরী। আপনজন সবসময় খাওয়ায় না, পরায় না। কিন্তু মহান আল্লাহ মানুষকে সবসময় রিজিক দেন, প্রতিপালন করেন।