বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় নদীভাঙনকবলিত ইউনিয়ন জাঙ্গালিয়া। ইউনিয়নটির কালাবদর ও মাসকাটা নদীর মোহনায় চর শেফালী গ্রামে কয়েক যুগ ধরে চলছে ভাঙাগড়ার খেলা। তিন বছর আগে এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের জন্য ৫০টি ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রায় দুই বছর আগে শেষ হয় নির্মাণকাজও। কিন্তু বরাদ্দের আগেই নদীভাঙনের কবলে পড়েছে আশ্রয়ণের ঘরগুলো। ভাঙনের কারণে ইতিমধ্যেই সেখান থেকে চারটি ঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দুই বছরেও তাঁরা আশ্রয়ণের ঘর বরাদ্দ পাননি। কে বা কারা পাবেন, সে বিষয়েও তাঁরা কিছু জানেন না। এদিকে ভাঙনের কারণে বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে প্রশাসন। চর শেফালী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলতাফ মীর সাংবাদিকদের বলেন, জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ফরাজির প্রভাবেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নদীর মোহনায় করা হয়। ভাঙনপ্রবণ এলাকার বিষয়টি কাদের ফরাজি গুরুত্ব দেননি। এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তৎকালীন ইউএনও সাহেবও চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে সায় দিয়ে যান।’
ইউপি সদস্য আলতাফ অভিযোগ করে বলেন, ‘চেয়ারম্যান কারও সঙ্গে পরামর্শ না করেই নদীর মোহনায় প্রকল্পের ঘর তোলার জায়গা ঠিক করেন। আমার ওয়ার্ডে ঘর হলো। অথচ তিনি কাজের বিষয়ে আমার সঙ্গেও কোনো আলোচনা করেননি।’ একই অভিযোগ করেন পাশের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজ্জাক মাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চর শেফালী গ্রামের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনও এবং বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের খামখেয়ালিপনায় নদীতীরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্থান নির্ধারণ করা হয়। সেগুলো কারা বরাদ্দ পাচ্ছেন, আমরা জানি না। তবে শুনতে পেয়েছি চেয়ারম্যান তাঁর পরিচিত লোকদের হাতে ঘর বরাদ্দ দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন।’