চট্টগ্রাম থেকে পরিবহন করে বগুড়ার বাফার গুদামে খালাস কালে ভেজাল সন্দেহে জব্দ করা হয়েছিল টিএসপি সার। পরে ল্যাবরেটরি টেস্টে ভেজাল মেশানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। বগুড়া বাফার গুদামের ইনচার্জ মোহাম্মদ মোস্তাফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গুদামের ইনচার্জ বলেছেন, ‘বগুড়া বাফার গুদামে খালাস কালে জব্দ নয় ট্রাক সার দুটি ল্যাব টেস্টে পরীক্ষা করে তাতে ভেজাল পাওয়া গেছে। সারগুলোর নমুনা নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষার পাশাপাশি বগুড়ার মৃত্তিকা গবেষণাগারে টেস্ট করা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষায়ই ভেজাল মেশানোর আলামত পাওয়া গেছে।’
এ ঘটনায় বগুড়া কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট টিএসপি সার পরিবহন করে পরিবহন ঠিকাদার চট্টগ্রামের দেওয়ান হাটের মেসার্স এমএইচআর করপোরেশন। ১৮টি ট্রাকে প্রায় ১৮০ টন সার নেওয়া হয় বগুড়ার বাফার গুদামে। তবে সন্দেহ হলে চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানান বগুড়া বাফার গুদাম ইনচার্জ।
চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পর তিন ব্যবস্থাপকের সমন্বয়ে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা হলেন—কারখানার (প্রশাসন) ম্যানেজার মাজহারুল ইসলাম, উৎপাদন বিভাগের ম্যানেজার রেজাউল করিম ও মার্কেটিং বিভাগের ম্যানেজার আব্দুল আউয়াল। কমিটি ৩৬টি নমুনা সংগ্রহ করে কারখানার ল্যাবে পরীক্ষা করে। এতে ভেজাল পাওয়া যায়।