মজুরি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও চা বাগান মালিকদের মধ্যে বৈঠকে কী আলোচনা হয় সেদিকে নজর রাখছেন মৌলভীবাজারের আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
শুক্রবারও কোনো শ্রমিক বাগানের কাজে যাননি; তারা বাগানে বাগানে বৈঠক ও আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে। শনিবার গণবভনে প্রধানমন্ত্রী ও চা বাগান মালিকদের মধ্যে বৈঠকের কথা রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিঘাট ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও কালিঘাট চা বাগানের শ্রমিক অনিল তন্তবাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে আছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা জানেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা পৌনে ২০০ বছর ধরে যে জায়গায় বসবাস করছি সে জায়গার ভূমি অধিকার আজও আমরা পাইনি। সব বাগানে এখনও স্কুল হয়নি। আশা করি, দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি এসব সমস্যারও সমাধান হবে।”
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন দেশের ১৬৭ চা বাগানের সোয়া লাখের বেশি শ্রমিক। ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন তারা।
২০ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর ১৪৫ টাকা দৈনিক মজুরির প্রতিশ্রুতিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা অন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও তা মানেননি শ্রমিকরা। তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখেন।