চা-শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামে সংহতি সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের জনগণ। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে মজুরি বৃদ্ধিসহ ন্যায়সংগত দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের সব থেকে অবহেলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হলেন চা-শ্রমিকরা। অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় চা-শ্রমিকদের মজুরি সর্বনিম্ন। তারা দিনরাত যে পরিশ্রম করেন তার তুলনায় মজুরি অনেক কম। চা-শ্রমিকদের অবদানে চা-শিল্প দেশের জিডিপিতে এক শতাংশ অবদান রাখে।
তারা বলেন, দিনে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি দেশের আর কোনো শ্রমিকের নাই। তাদের না আছে কোনো ভালো থাকার জায়গা, সুপেয় পানি, চিকিৎসা ও সন্তানের লেখাপড়ার ব্যবস্থা। চা-শ্রমিকদের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও ভোগান্তি নিরসনে এই মুহূর্তে শ্রমিকদের ন্যায়সংগত মজুরি বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। চা-শ্রমিকদের দাবি আদায়ের এই আন্দোলন ন্যায়সংগত এবং দেশের সাধারণ মানুষ এই আন্দোলনে পাশে আছে। তাই অবিলম্বে চা-শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা করাসহ সব দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ। এতে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট ভূলন ভৌমিক, ছাত্রনেতা মো. আজিজ উল্লাহ, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মিঠুন বিশ্বাস, সাংবাদিক রুবেল দাশ, পলাশ দে, ছাত্রনেতা রবিন পাল, লেখক ও কলামিস্ট অভিরাজ নাথ, ছাত্রনেতা চিন্ময় ভট্টাচার্য্য, শুভ সেন, অন্তু ধর প্রমুখ।