লিও তলস্তয়ের ‘ওয়র অ্যান্ড পিস’ পড়েছিলাম সেই ছেলেবেলায়। কিন্তু আজ বুঝতে পারছি যুদ্ধ করে বিজয়ী হতে পারলেও যে শান্তি আসবে এমন কোনো সত্যবাণী পৃথিবীর জন্য নয়। যুদ্ধ নিজের দেশের জন্য আর শান্তি ব্যক্তির একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালিয়ে ভ্লাদিমি পুতিন ব্যক্তিগতভাবে কতটা শান্তি পাচ্ছেন, তা আমাদের জানা নেই।
তবে তারও চেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে ছয় মাস ধরে যেসব রুশ সেনাসদস্য ওই অভিযানে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের পরিবার-পরিজনের মনে কী শান্তি উৎপাদিত হয়েছে নাকি এক বিরামহীন বেদনার ভার বহন করে চলেছে তারা? একই কথা খাটে ইউক্রেনের জন্যও। তারা রাশিয়ার সামরিক অভিযানের শিকার হয়ে সম্পদ ও সেনাসদস্য হারিয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে আরও বহু কিছু। সেসবের জন্য জেলেনস্কির মন কি বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়নি। তিনি ইউরোপয়ীদের রাজনৈতিক-সামরিক সহযোগিতার ব্যাপারে নাখোশ।
ছয় মাস ধরে যুদ্ধের এই সামরিক নিধনযজ্ঞের খেলা গোটা বিশ্বকেও নাস্তানাবুদ করছে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে। এই যুদ্ধের ধকল সইতে আর কতকাল লাগবে? আর কত মানুষ হত্যা ও সম্পদহানির পর খায়েশ মিটবে আগ্রাসনকারী ভ্লাদিমি পুতিনের? মানুষ হত্যা আর সম্পদ ধ্বংসের মহড়া ছাড়া যুদ্ধ কখনই শান্তি আনতে পারে না।