সঞ্চারীর বয়স মোটে সাত। কিন্তু এখনই তার মাকে টিফিন দেওয়ার সময়ে অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়। সঞ্চারী যে রুটি, বিস্কুট, কেক-জাতীয় কোনও খাবারই খেতে পারে না। নুডল্স খেলেও মুশকিল। তার আসলে গ্লুটেনে অ্যালার্জি। খেলেই পেটের গোলমাল তৈরি হয়।
তাই সাধারণ রুটির বদলে সঞ্চারীর মা জোয়ার বা রাগির রুটি করে দেন, বাজারের বিস্কুট না দিয়ে ওট্সের আটা দিয়ে বাড়িতেই বিস্কুট তৈরি করে দেন। এবং বাইরে রেস্তরাঁয় খেতে গেলেও মেয়ের জন্য বেছে বেছে বিশেষ ভাবে অর্ডার করেন।সঞ্চারী একা নয়।
একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, চারপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা প্রতি দিনের খাবার থেকে অনেক কিছুই বাদ দিয়েছেন। কেউ দুধের জিনিস খান না, কেউ চিংড়ি মাছ খান না, কেউ আবার কোনও ধরনের বাদাম খান না। কারণ এঁদের সকলেরই নানা ধরনের খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, যে খাবার যুগ যুগ ধরে বাঙালি খেয়ে হজম করে ফেলল, এখন হঠাৎ সে সব খাবারে ঘরে ঘরে অ্যালার্জি তৈরি হচ্ছে কেন? নাকি এ সব আগেও ছিল, কেউ টের পেতেন না?