চা-শ্রমিকের আন্দোলন নিয়ে খেলা চলছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন ক্রেডিট দেখাতে গিয়ে আন্দোলন দীর্ঘ হচ্ছে। মূল সংগঠন চা-শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের হাতে নেই এর চাবিকাটি। সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে নেতাদের সমন্বয়হীনতার অভাবে এমনটাই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চা শ্রমিক নেতারা।
আন্দোলন কোন দিকে যাচ্ছে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে। পক্ষকালব্যাপী তাদের এ আন্দোলনের কী ফলাফল আসবে তা নিয়েই ভাবনায় পড়েছেন তারা।
শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজার-৪ আসনের এমপি মো. আব্দুস শহীদের মধ্যস্ততায় শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরীর উপস্থিতিতে ২৫ টাকা মজুরি বৃদ্ধি করে ১৪৫ টাকা করা হয়। এ সময় চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শ্রমিক নেতারা। কিন্তু এর ৩ ঘণ্টা পর সেই সিদ্ধান্ত সাধারণ শ্রমিকরা প্রত্যাখান করায় বেকায়দায় পড়ে যান চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। তাদের হাত থেকে ফসকে যায় আন্দোলনের চাবিকাটি।