রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অনেক জ্বালানিবিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ২০০ ডলারে উঠতে পারে। তেলের দাম প্রকৃত অর্থেই প্রতি ব্যারেল ২০০ ডলারে উঠলে জাহাজভাড়াসহ পরিবহন খরচ রীতিমতো আকাশে উঠে যেত। বৈশ্বিক অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যেত।
কিন্তু তেলের দাম এখন প্রাক্–যুদ্ধ পর্যায়ে নেমে গেছে, গত দুই মাসেই দাম কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি। এরপর সোমবার জানা গেল, চীনা অর্থনীতির গতি কমে গেছে এবং গতি ফেরাতে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার হ্রাস করেছে। এ খবরে তেলের বাজারে আমেরিকান বেঞ্চমার্ক হিসেবে পরিচিত ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
অন্যদিকে গ্যাসোলিনের দাম গত ৯ সপ্তাহে প্রতিদিনই কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসোলিনের দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ইউনিট ৪ ডলারেরও নিচে। জেট ফুয়েল ও ডিজেলের দামও কমছে। এর অর্থ হচ্ছে, খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে বিমানের টিকিট—সবকিছুরই দাম কমবে।