প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে রদবদল নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা এখন তুঙ্গে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে কে আসছেন, তা নিয়ে সচিবালয়ে কর্মকর্তারা নানা হিসাব মেলাচ্ছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদও ফাঁকা হচ্ছে। পরবর্তী জনপ্রশাসনসচিব পদের বিপরীতে কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের চাকরির মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হচ্ছে। এই পদে নতুন কেউ আসছেন নাকি বর্তমান আইজিপি থেকে যাচ্ছেন, এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
সচিবালয়ের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, প্রশাসনে রদবদল রুটিন কাজ হলেও আগামী বছরের শেষে যেহেতু জাতীয় নির্বাচন, তাই প্রশাসনের শীর্ষ পদে কারা থাকছেন, তা নিয়ে এবার আলোচনা কিছুটা বেশি। সরকারের মধ্যেও চলছে নানা হিসাব-নিকাশ।
বিশ্বব্যাংকের বর্তমান বিকল্প নির্বাহী পরিচালক শফিউল আলমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে অক্টোবরে। তাঁর চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ আর বাড়ছে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা আহমদ কায়কাউস। তিনি বর্তমানে দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন। পরবর্তী তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে নভেম্বরে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবেন এমনটা শোনা যাচ্ছে। যদিও মুখ্য সচিব পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আগামী ৩১ ডিসেম্বর। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছেন।