রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেট কারের ওপর নির্মাণাধীন বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় ক্রেনচালকের ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিল না। চালকের সহকারী মাত্র তিন মাস আগে কাজে যোগ দিলেও ঘটনার সময় ব্যস্ত সড়কে কোনো ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই গার্ডার উত্তোলনের কাজ করছিলেন। আর ক্রেনের মূল চালক বাইরে দাঁড়িয়ে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, ভারী গার্ডার স্থাপনের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনো ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনী স্থাপন বা ট্রাফিক নিয়োগ করা হয়নি। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হওয়া সত্ত্বেও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি না জানিয়েই কাজ করছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় দায়ী সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে র্যাব।
গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১, ৩, ৪, ৬ ও ১২ যৌথ অভিযানে রাজধানীর জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, কালশী, সাভার, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেনচালকসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—আল আমিন হোসেন ওরফে হৃদয় (২৫), চালকের সহকারী রাকিব হোসেন (২৩), দুর্ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ফোর ব্রাদার্স গার্ড সার্ভিসের ট্রাফিক ম্যান মো. রুবেল (২৮), মো. আফরোজ মিয়া (৫০), ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার আলী শাহ (৩৯), হেভি ইকুইপমেন্ট সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত ইফসকন বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বত্বাধিকার ইফতেখার হোসেন (৩৯), হেড অব অপারেশন আজহারুল ইসলাম মিঠু (৪৫), ক্রেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিল্ড ট্রেড কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তুষার (৪২), প্রকল্পের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন মৃধা (৩৩), মো. মঞ্জুরুল ইসলাম (২৯)।