চাশিল্প আমাদের দেশের জন্য সবিশেষ গর্বের ধন। অথচ এই শিল্পের ভেতরে রয়েছে ভয়ঙ্কর এক অন্ধকার। এখানকার শ্রমিকরা এখনো রয়ে গেছে দাস হিসেবে। যে চা আমাদের উষ্ণ করে- সেই চাশিল্পের শ্রমিক ঠকানোর এই বাস্তবতা আমাদের জন্য বেদনার, সবিশেষ লজ্জারও।
প্রতিদিনের সকালে এক কাপ চা না হলে আমাদের চলেই না। শহুরে জীবনে তো বটেই, প্রত্যন্ত গ্রামেও এখন চায়ের দুর্দান্ত দাপট। অলিগলিতে যেমন, ঠিক তেমনই একেবারে নির্ভেজাল গ্রাম বলতে যা বোঝায় সেখানেও হাজির রয়েছে চায়ের দোকান- চলে চা বিক্রির মহোৎসব।
গ্রামবাংলায় অতিথি এলে যেখানে এক গ্লাস শরবত কিংবা একটা ডাব দিয়ে শুরু হতো আপ্যায়িত করার প্রথম পর্ব, সেখানে এখন জায়গা করে নিয়েছে এক কাপ চা। এবং চায়ের সঙ্গে টায়ের নামে থাকতে পারে নানাকিছু কিন্তু চা থাকতেই হবে। এ কারণেই বলা চা ছাড়া আমাদের চলেই না। শুধু কি সকালে, দিন-রাত্রির যে কোনো সময়ে চা হয়ে উঠেছে আমাদের যাপিত জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ। পানির পরই পানীয় হিসেবে অন্যতম প্রধান জায়গা করে নিয়েছে চা।