বাবার অসুস্থতার কারণে নারায়ণগঞ্জের পারিবারিক হার্ডওয়্যারের দোকানের হাল ধরেছিলেন র্যাপার আলী হাসান, লোকসানের মুখে বহু বছরের স্মৃতিবিজড়িত সেই ব্যবসা আট মাস আগে গুটিয়ে নিতে হয়েছে হাসানকে। ব্যবসা করতে গিয়ে নিজের জীবনের বাস্তবতা গানে গানে তুলে এনেছেন তিনি। হাসানের কথা ও সুরে ‘ব্যবসার পরিস্থিতি’ শিরোনামে একটি গান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তুলেছে, রাতারাতি পরিচিতি এনে দিয়েছে হাসানকে। গানটি নিয়ে আলোচনার মধ্যে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলী হাসান জানান, তাঁর নিজের জীবনের পরিস্থিতিই গানে তুলে ধরেছেন। দেড় বছর আগে নিজেদের দোকানে বসে লিখেছিলেন তিনি, গানটা লেখার কাজ শেষ করতে কয়েক মাস লেগেছিল। এর আগে জীবনযুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে হাসানকে।
তিনি বলেন, ‘দুষ্টুমিতে পড়ালেখা করা হয়নি। মধ্যে কিছুদিন ওয়েল্ডিংয়ের কাজ শিখেছি, পরে বিদেশ গেছিলাম। তিন বছর পর দেশে ফিরলাম, আব্বা অসুস্থ হওয়ায় সেই হার্ডওয়্যারের দোকানের হাল ধরলাম। ব্যবসার হাল ধরে যে কী বিপদে আছি। ব্যবসার পরিস্থিতি এত খারাপ। বাটপারি আর চিটারিতে হালাল ব্যবসা আর নাই। ব্যবসা হয়ে গেছে দুই নম্বর। সুদের ব্যবসা এসে দুধের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে।’
দোকানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়ার খালের পাড় সংস্কারের মধ্যে তাঁর দোকানের কিছু অংশ ভাঙা পড়েছে। জমানো অর্থ দোকানের পেছনে ব্যয় করে লোকসানের মুখে ব্যবসাই ছাড়তে হলো। অর্থসংস্থান করতে না পারায় গানটির কাজ কয়েক মাস ধরে আটকে ছিল। মাস তিনেক আগে গানের রেকর্ডিং করেছেন। আর শুটিং করেছেন নারায়ণগঞ্জের আদর্শনগরে এক বন্ধুর দোকানে, গানে বিক্রেতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।