ডিজেল ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ বেড়ে গেছে। খেত প্রস্তুত থেকে শুরু করে সেচ দেওয়া, মাড়াই করা, ফসল ঘরে তোলা, শ্রমিকের মজুরি—সব ক্ষেত্রেই বাড়তি খরচের বোঝা টানতে হচ্ছে।
কয়েক দিনের ব্যবধানে ইউরিয়া ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে আমনের ভরা মৌসুমে খরচ মেটাতে এখন হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অনাবৃষ্টি। এবার সারা দেশেই বৃষ্টি কম হওয়ায় আমন ধানে সেচ বেশি লাগছে। এতে উৎপাদন খরচ আরও বাড়ছে। উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে খরচ উঠবে না বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। যশোর, নওগাঁ, টাঙ্গাইল ও জামালপুর—এ চার জেলায় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এমন আশঙ্কার কথা জানা গেল।
সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে কৃষি অর্থনীতিতে দুই ধরনের চাপ সৃষ্টি হতে পারে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের ন্যায্য দাম পেতে হবে। আবার বাজারে চালের দাম বাড়লে গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের খরচ বাড়বে। চালের দাম বেড়ে গেলে গরিব মানুষের কষ্ট অবধারিতভাবে আরেক দফা বাড়বে। কারণ, দিন আনি দিন খাই মানুষের আয়ের বেশির ভাগই খাবার কিনতে খরচ করতে হয়। চাল কিনতেই বেশি খরচ হয়, যা মূল্যস্ফীতিকে আবার উসকে দেবে।