জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে ইতিমধ্যে বাসের ভাড়া বেড়েছে। নানা খাতে একের পর মূল্যবৃদ্ধির দুঃসংবাদ। সামনের দিনে আরও দুর্ভোগের শঙ্কায় সাধারণ মানুষ যখন চিন্তিত, তখন সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ভোজ্যতেল শোধনকারী মিল মালিকরা। এ খবর মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষকে আরো দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
বেশ কিছুদিন ধরে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের মূল্য উর্ধ্বগামী। বাঁধা আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলাতে দিশেহারা মানুষ। জ¦ালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে মানুষ নতুন করে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির চাপে পড়বে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশঙ্কা, পারিবারিক বাজেট কাটছাট করেও টিকে থাকা এখন তাদের পক্ষে কঠিন হবে।
নিম্নআয়ের মানুষের ভাষ্য, এখন তাদের টিকে থাকাই কঠিন- ‘এভাবে একের পর এক দাম বাড়ছে। আয় তো আর বাড়ছে না। সংসার চালাব কীভাবে? স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁচব কীভাবে? চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।’
তবে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের কথা সরকারের অজানা নয় বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও মানুষের কষ্টের বিষয়টি সরকারের ভাবনায় রয়েছে।’
সয়াবিনের নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত দামের কতটুকু গ্রহণ করা হবে, তা পরিস্থিতি বিবেচনায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই চূড়ান্ত হবে।’