দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে নিজেদের সঞ্চিত অর্থ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি এফডিআর আকারে জমা রাখে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এর বাইরে রয়েছে ব্যাংকে রাখা নগদ অর্থও। ব্যাংকিং সূত্র বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নগদ অর্থের পরিমাণ কিছুটা কমলেও দীর্ঘমেয়াদি আমানত ও নগদ জমাকৃত অর্থের বিবেচনায় দেশে ব্যাংকের একক ধনী গ্রাহক রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানটিই।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় ১৩ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি আমানত হিসেবে জমা রেখেছে বিপিসি। আর দেশের বেসরকারি ২১টি ব্যাংকে স্বল্পমেয়াদি আমানত হিসেবে জমা রাখা হয়েছে ২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। এর বাইরেও জ্বালানি তেল বিক্রি বাবদ ১৫ হাজার ৮২২ কোটি টাকা নগদ ছিল বিপিসির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে। সব মিলিয়ে গত বছরের ৩০ জুন বিপিসির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির ২০২০-২১ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ২০২১ সালের ৩০ জুন বিপিসির হাতে যে পরিমাণ অর্থ ছিল ২০২২ সালের জুনে দীর্ঘমেয়াদি আমানতের ক্ষেত্রে তার খুব বেশি হেরফের হয়নি। তবে নগদ অর্থ কিছুটা কমেছে। বিপিসির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির হিসাব পরিচালনাকারী ব্যাংকগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যেই তা দেখা যাচ্ছে। চলতি বছরের ১২ জুন তৈরি বিপিসির একটি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে মোট ২৫ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা জমা ছিল। এর মধ্যে নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর ১৪ হাজার ১০৬ কোটি টাকা ছিল মেয়াদি আমানত হিসাবে। দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি এসব আমানত থেকে বড় অংকের সুদ আয়ও পায় বিপিসি।