বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের তীব্রতা কমাতে দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে আলাদা দিনে সপ্তাহিক ছুটি দেওয়ার বিষয়ে সরকারের প্রস্তাবে একমত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার বিদ্যুৎ ভবনে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিটিএমএ ও বিকেএমইএর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “এখন শিল্পাঞ্চলে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি আছে। এক দিনে সব এলাকায় ছুটি না দিয়ে, যদি রেশনিংয়ের মাধ্যমে একেক দিন একেক এলাকায় ছুটি চালু করা যায়, তাহলে বিদ্যুতের কিছুটা সাশ্রয় হবে, লোড শেডিং কিছুটা কমে আসবে। শিল্প মালিকরা এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন।”
এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, “বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে ৪৯০ মেগাওয়াটের মত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে দিনে। আমরা বলেছি, কেবল ঢাকায় নয়, সারা দেশেই যেন এরকম ছুটি কার্যকর করা হয়।”
এক সময় যখন নিয়মিত লোড শেডিং হত, তখন এরকম ছুটির ব্যবস্থা চালু ছিল জানিয়ে বিকেএমইএর সহসভাপতি ফজলে শামীম আহসান বলেন, “আমরা বলেছি, প্রয়োজনে সে ধরনের সূচি আবার চালু করা হোক। তবে ডায়িং ও স্পিনিং ফ্যাক্টরিকে কিছুটা ছাড় দেওয়া যায় কিনা, সেই প্রস্তাব আমরা করেছি।”
বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন জানান, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে যেসব ফ্যাক্টরি চলে তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের সিদ্ধান্ত কার্যকর নাও হতে পারে।