সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কিছুটা বিস্মিতই করে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মাংকি পক্স। দীর্ঘ সময় ধরেই কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশে সীমিত ছিল রোগটির বিস্তার। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৮৮টি দেশে ২৭ হাজারেরও বেশি সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাংকি পক্স ভাইরাস থামানো যাবে না এমন কোনো জীবাণু নয়। এমনকি কভিডের তুলনায় এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়াতেও সময় বেশি লাগে। খুব কাছ থেকে শারীরিক স্পর্শের প্রয়োজন হয়। সংক্রমিত ত্বক, মুখের কাছে মুখ নেওয়া, ভাইরাস লেগে রয়েছে এমন পৃষ্ঠ বা বস্তু যেমন বিছানার চাদর বা তোয়ালে ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়াতে পারে মাংকি পক্স। অনেকে মাংকি পক্সকে যৌন রোগ বা চিকেন পক্স ভেবে ভুল করে থাকে। এর ফলে ভাইরাসটি অনিচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বেশিসংখ্যক সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশার কারণে মাংকি পক্স নিজের দুর্বলতার গণ্ডি পার হয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারছে। এ ভাইরাসটিকে যৌনবাহিত সংক্রমণ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত না করা হলেও নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনের এক গবেষণা বলছে, আনুমানিক ৯৫ শতাংশ মাংকি পক্স সংক্রমণই যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়িয়েছে। বিশেষ করে সমকামী পুরুষদের মধ্যে এটি বেশি দেখা গেছে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মাংকি পক্স ঠেকানো না গেলে তা বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে স্থায়ীভাবে রয়ে যেতে পারে। যত সময় যাবে, ততই এটির পাকাপোক্তভাবে থেকে যাওয়ার শঙ্কা আরো বৃদ্ধি পাবে।