বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে, বাংলাদেশে উল্টো বাড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ববাজারে টিকে থাকা আমাদের জন্য কস্টকর হবে। পুরোনো অর্ডারগুলোতেই প্রচুর লস হবে। অনেক কারখানা নতুন অর্ডার নিতে পারবে না। ফলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিণতি কী হতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা পোস্টকে এসব কথা বলেন দেশের তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কারখানায় গ্যাংস সংকট, সরকার নির্দেশিত লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ থাকে না ৫-৬ ঘণ্টা। এ কারণে দিনে ৬ ঘণ্টার জন্য জেনারেটর ব্যবহার করতে হয়। জেনারেটরের ব্যবহার বাড়ায় বেশি জ্বালানি তেল ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পোশাক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমাদের হাতে প্রচুর অর্ডার রয়েছে। বড় অংকের লস দিয়ে এসব অর্ডারের পণ্য উৎপাদন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশে পরিবহন ভাড়া বাড়বে, ট্রাক ভাড়া বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। এসবের সাথে শ্রমিকদের বেতনও বাড়াতে হবে। লস থেকে বেঁচে থাকতে হলে অনেক কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কেনো উপায় থাকবে না।