নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারকালে এক পুরুষ ও নারী পাচারকারী দলের ৫ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পাচারের সময় পালিয়ে আসা ৩ নারীকে উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা। তিনি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে র্যাব-১১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে এসে লিখিতভাবে অভিযোগ জানায় ভুক্তভোগী এক নারী।
ওই নারী জানায়, একদল মানব পাচারকারী সদস্য তাকে বিউটি পার্লারে কাজ যোগাড় করে দেওয়ার কথা বলে যশোর বেনাপোল বর্ডারে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাকে কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করতে বললে সে বুঝে ফেলে যে তাকে পাচার করা হচ্ছে। সে যেতে রাজি না হলে পাচারকারীরা তাকে ব্যাপক মারধর করে। এক পর্যায়ে সে কৌশলে পালিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে সে বাসে করে যশোর থেকে নারায়ণগঞ্জ আসে। ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্যের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি বাতানপাড়া (মসজিদ রোড) এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৫ নারী ও এক পুরুষসহ নারী পাচারকারী দলকে আটক করে র্যাব-১১।
এ সময় তাদের কাছ থেকে পাচারের কাজে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের ডেবিট কার্ড ও টাকা রাখার ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এসময় এক অপ্রাপ্তবয়ষ্ক কিশোরীসহ ২ নারী ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরও পাচারের জন্য ওই স্থানে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়ষ্ক নারী ভিকটিমকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাতেই পাচার করার পরিকল্পনা ছিল। আটককৃত হলো- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের হিল্লাপাড়ার তোফাজ্জল হোসেন ইরানের স্ত্রী ঝুমা আক্তার(২৮), রিপন শেখের স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৯), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে রহমানের মেয়ে মিনারা রিনা (৩৫), সিদ্ধিরগঞ্জের মৃত রাজ্জাক মিস্ত্রির ছেলে শাহজামাল (৪০), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের চরচন্নার শাহজামালের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার (২৭) ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজির মৃত শহিদুলের স্ত্রী কমলি খাতুন (৩২)।