শরীর সম্পর্কে সতর্ক হতে গিয়ে আজকাল বড্ড বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। বেসরকারি হাসপাতালগুলি যে ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সতর্ক করতে চায়, সেগুলি তো ওই ভয় থেকে পরিত্রাণ দিচ্ছেই না, বরং আরও বেশি ভয়ের চোরাবালিতে ডুবিয়ে দিচ্ছে।
শুধু বিজ্ঞাপন নয়, নেটমাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থা সারা ক্ষণ যে ভাবে আমাকে অনুসরণ করছে, তাতে নাজেহাল হয়ে পড়ছি। এ সব ভাবনা যাঁদের মস্তিষ্কপ্রসূত, তাঁরা কি ওই সব ভয় ও আতঙ্কের কথা কি ভেবে দেখেছেন? না কি সাধারণ জনের ভয়কে উসকে দিয়ে বাণিজ্যিক প্রসিদ্ধির পথে হাঁটতেই ওঁরা অভ্যস্থ হতে চান!প্রতিবেশী বৃদ্ধের মৃত্যুর পর মোবাইলে সার্চ করেছিলাম, শববাহী গাড়ি কোথায় পাওয়া যেতে পারে! এক সার্চেই চলে এসেছিল অনেকগুলো যোগাযোগের নম্বর।
সেখান থেকেই একটা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ‘শেষের খেয়া’ আনা হয়েছিল। প্রতিবেশী পরিবারের শূন্যতা কাটতে না-কাটতেই অদ্ভূত সমস্যায় পড়লাম। ‘সার্চ হিস্ট্রি’র হিসাবনিকাশ রেখেই সম্ভবত এর পর থেকে নেটমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আসতে শুরু করল অন্তেষ্ট্যির প্রয়োজনীয় উপকরণের নানা ধরনের বিজ্ঞাপন। রাত-বিরেতে আচমকা নিজের মোবাইলে ওই সব ছবি ও বিজ্ঞাপন দেখে স্বাভাবিক ভাবেই আঁতকে উঠতে হয়!