চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবরোধ করেছেন শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা। অবরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস–পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। শাটল ট্রেনও বন্ধ রয়েছে। এই ট্রেনের চালককে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল রোববার রাতে চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পরই পদবঞ্চিত নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। রাতেই শুরু হয় ভাঙচুর, মারধর ও অবরোধ।
বিক্ষুব্ধরা শাখা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মোহাম্মদ ইলিয়াসের বহিষ্কার দাবি করছেন। একই সঙ্গে তাঁরা নতুন শাখা কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, শাখা কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
মূলত এসব দাবিতেই চবির মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করেন শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ বিজয়ের একাংশের নেতা-কর্মীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত ক্যাম্পাস অবরোধ অব্যাহত রাখবেন বলে তাঁরা ঘোষণা দিয়েছেন।
শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও বিজয় উপপক্ষের নেতা আবু বকর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ইলিয়াসকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন না—এমন অনেকেই পদ পেয়েছেন। তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। অন্যথায় ক্যাম্পাস অবরোধ চলবে।
চবির সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের পদ না পাওয়া নেতারা রাত থেকে ক্যাম্পাস অবরোধ করেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। যেহেতু তাঁদের দাবি রাজনৈতিক, তাই তা পূরণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
কক্ষ ভাঙচুর-মারধর
কমিটি ঘোষণার পর ছাত্রদের পাঁচটি আবাসিক হলের অন্তত ৪০টি কক্ষ ভাঙচুর করেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।
এ সময় শাখা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সাহিল কবিরকে মারধর করা হয়। মারধরের শিকার সাহিল পরে চবির চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নেন।